করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত চীনের সামুদ্রিক প্রাণি বাজার। কোভিড নাইনটিনের উৎপাত্তিস্থল হিসেবে ধরে নেয়া উহান শহর থেকে লকডাউন তুলে নিলেও স্বাভাবিক হয়নি সেখানকার পরিস্থিতি। অনেকেই আতঙ্কে খুলছেন না দোকান। যারা দোকান খুলেছেন, আতঙ্কে বাজারে কেউ না আসায় লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয় চীনের হুবেই প্রদেশের শহর উহান। এ শহরের বন্য প্রাণির বাজার থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। তাই জানুয়ারি থেকে বাজারটি বন্ধ করে দেয়া হয়। যা বহাল আছে এখন পর্যন্ত।
এ বাজারের নির্দিষ্ট কয়েকটি দোকানে বিক্রি হতো বাদুর, সাপ, বনরুইসহ বেশ কিছু বন্য প্রাণি।
চীনে কোভিড নাইনটিনের প্রকোপ কমতে শুরু করায় লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে উহান থেকে। খুলেছে উহানের সামুদ্রিক প্রাণির বাজার। কিন্তু জনজীবন স্বাভাবিতক হতে শুরু করলেও অভিশপ্ত ওই স্থানে সহসা পা দিচ্ছেন না কেউ। তাইতো এখনো বন্ধ আছে বেশিরভাগ দোকানপাট। যারা দোকান খুলেছেন, তারা পণ্যের পসরা নিয়ে বসলেও নেই ক্রেতা।
একজন বলেন, ৩ মাস হয়ে গেছে। আমরা এখনো তেমন কিছুই করতে পারিনি। আমাদের ব্যবসা আয় কিছুই নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে যাবে। দেখুন সবজিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অথচ কিনতে আসছে না কেউ।
এখানকার ব্যবসায়ীদের দাবি, এই বাজার থেকে কোভিড নাইনটিনের মতো বিপদজনক ভাইরাসের উৎপত্তি হয়নি। তারা বলছেন, শুধু চীন নয়, সারা এশিয়াতে তাজা মাছ মাংস আর সবজির এই বাজারগুলো আছে।
আরেকজন বলেন, ভাইরাস সামুদ্রিক প্রাণির বাজার থেকে এসেছে এটা আমি মানতে রাজি না। সামুদ্রিক প্রাণি আমরা চাষ করি, আর এগুলো জীবাণুমুক্ত করেই বিক্রি করি। এ বাজারে কোন ভাইরাস নেই। এটা মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। সেটা যেকোন জায়গা হতে পারে।
এ শহরের ৪শ’র বেশি কৃষকের জন্য প্রণোদনা হিসেবে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছে চীন সরকার। তবে নিশ্চিত করতে হবে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ।